শুক্রবার, নভেম্বর ২১, ২০২৫
spot_img
Homeজাতীয়ঢাবির রাজনৈতিক অর্জন বেশি, অ্যাকাডেমিক অর্জন কম: সাদিক কায়েম

ঢাবির রাজনৈতিক অর্জন বেশি, অ্যাকাডেমিক অর্জন কম: সাদিক কায়েম

আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. আবু সাদিক কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অ্যাকাডেমিক কার্যক্ষমতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই নেতা তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পার হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জন করলেও অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষ এখনও সন্তোষজনকভাবে অর্জিত হয়নি।

সোমবার কার্জন হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদিক কাইয়ুম জোর দিয়ে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় মূলত জ্ঞান উৎপাদন, বিতরণ এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টির জন্য।”

প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রের গতিপথ নিয়ে বৈশ্বিক মানের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

সাদিক কায়েম তুলনামূলক তথ্য তুলে ধরে বলেন যে অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করার পরও বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং শিক্ষাগত অগ্রগতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক অগ্রগামীভাবে ছাড়িয়েছে।

তিনি দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাডেমিক অবকাঠামো ও গবেষণা সক্ষমতার জন্য যথেষ্ট বিনিয়োগ না করার বিষয়েও সমালোচনা করেন।

গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, পার্শ্ববর্তী দেশ এবং উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার জন্য মূল বাজেটের ২০–২৮% বরাদ্দ রাখলেও ঢাবি এ বছরের জন্য কেবলমাত্র ২% বরাদ্দ দিয়েছে। এটি একটি বিশাল ফাঁক যা প্রতিষ্ঠানটির অর্থবহ অ্যাকাডেমিক অবদানের সক্ষমতাকে মূলত ক্ষুণ্ন করছে।

প্রার্থী আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, নির্বাচিত হলে তার প্যানেল বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃত অর্থে অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরিত করতে পারবে। তবে সাদিক কায়েম নির্বাচনী পরিবেশে উদ্বেগজনক ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন, তিনি অভিযোগ করেন যে সব ডাকসু প্রার্থী জুলাই বিপ্লবের সাথে যুক্ত হলেও, প্রতিপক্ষরা ক্রমাগত সাইবারবুলিং করছে এবং মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।

ঢাবি ডাকসু নির্বাচন চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে, যা শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

এটি ইসলামী ছাত্রশিবিরের ডাকসু নির্বাচনে প্রথমবারের অংশগ্রহণ, যা সাদিকের প্রার্থী হওয়াকেও ঐতিহাসিক গুরুত্ব দিচ্ছে।

সাদিক কায়েম নেতিবাচক কৌশলের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ইতিবাচক প্রচারণার আহ্বান জানান।

তার প্যানেলের মূল লক্ষ্য অ্যাকাডেমিক সংস্কার, গবেষণার জন্য বাজেট বৃদ্ধি এবং প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার উপর কেন্দ্রিত।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments