বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। হঠাৎ কাঁপুনি টের পেয়ে নগরের বহু বাসিন্দা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে চট্টগ্রাম নগরীতে এখনো কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৭। কম্পনের কেন্দ্র ছিল নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল এলাকা।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়, নগর ও আশপাশে কম্পন অনুভূত হলেও বেলা ৩টা পর্যন্ত কোথাও ধসে পড়া ভবন বা দুর্ঘটনার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
চান্দগাঁও এলাকার বাসিন্দা রবিন চৌধুরী বলেন, ‘বাসায় বসে ছিলাম, হঠাৎ পুরো ঘর কাঁপতে শুরু করে। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হওয়ায় আমরা সবাই ভয় পাই।’
এদিকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক শামীম হাসান জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের প্রভাবে বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞদের হিসাব মতে, বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে চট্টগ্রাম নগরের ৩ লাখ ৮২ হাজার ভবনের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ভবন ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে।



