ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, অন্য ছাত্রসংগঠনের নেতাদের আক্রমণাত্মক বক্তব্য জুলাই ঐক্যকে দুর্বল করছে, যা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের জন্য সুযোগ তৈরি করছে। শিবির কখনও তিক্ততা সৃষ্টিকারী বক্তব্য দেয়নি, কিন্তু অন্য সংগঠনের নেতারা প্রায়ই তাদের বক্তব্যে শিবিরকে আক্রমণ করে।
রবিবার চট্টগ্রামে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা শেষে তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিস্টদের অনেকেই দেশে থেকে অরাজকতার পেছনে অর্থ ঢালছে। আমাদের মধ্যে অনৈক্য তৈরি হলে তারাই লাভবান হবে। কিছু নেতার অপরিপক্বতা ও উদাসীনতা এই বিভাজন বাড়াচ্ছে।
ছাত্রদল নেতার এক মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে শিবিরের রাজনীতি ও ভ্রাতৃত্ব বোঝা যাবে। অন্য সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো।
তিনি জানান, ঢাবির এক জরিপে ৮০% শিক্ষার্থী রাজনীতি চায় না, কারণ অতীতে ছাত্রলীগ হল রাজনীতির নামে নির্যাতন চালিয়েছে। তাই শিবির শুধুমাত্র ক্যাম্পাস রাজনীতি করবে, হল রাজনীতি নয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সভাপতির ছাত্র সংসদ নির্বাচনবিরোধী বক্তব্যে হতাশা জানিয়ে তিনি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করেন।
জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, শিবিরের মাত্র ১০% কাজ রাজনৈতিক; ৯০% অ্যাকাডেমিক, ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও সৎ নাগরিক তৈরিতে ব্যয় হয়। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান— বিদেশে অর্থ পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ বা স্বৈরশাসকের মতো না হয়ে সৎ, আদর্শ শিক্ষক ও নাগরিক হওয়ার জন্য।
অনুষ্ঠানে মহানগর উত্তর শিবিরের সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ১,২০০ এসএসসি ও দাখিল শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ভালো বলেছে!