জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানিতে উত্তেজনা দেখা দেয়। সোমবার বিকেলে হাইকোর্টের বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
বিকেল ৩টার দিকে খায়রুল হকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, কামরুল হক সিদ্দিকী, জেড আই খান পান্না, মোহসীন রশিদ, মোতাহার হোসেন সাজু, সৈয়দ মামুন মাহবুবসহ কয়েকজন আওয়ামীপন্থি আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হন। এর আগে থেকেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এজলাসে অবস্থান করছিলেন।
শুনানি শুরু হলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ জানান, অ্যাটর্নি জেনারেল এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। এ সময় খায়রুল হকের পক্ষে থাকা আইনজীবী মোহসীন রশিদ আপত্তি জানিয়ে বলেন, আদালতকে এভাবে নির্দেশনা দেওয়া ঠিক নয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক, হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
তর্কের এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ তোলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার সময় খায়রুল হকের পক্ষের আইনজীবীরা নীরব ছিলেন, অথচ এখন “গণতন্ত্র ধ্বংসকারী” একজনের জামিন চাইতে এসেছেন।
উত্তেজনা কমাতে আদালত বারবার উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। পরবর্তীতে বেঞ্চ আগামী রোববার এই আবেদনের পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন।