শুক্রবার, নভেম্বর ২১, ২০২৫
spot_img
Homeরাজনীতিভোলায় ইসলামি ঐক্য আন্দোলনের নেতা মওলানা আমিনুল ইসলাম নোমানী খুন

ভোলায় ইসলামি ঐক্য আন্দোলনের নেতা মওলানা আমিনুল ইসলাম নোমানী খুন

ভোলা, বাংলাদেশ – শনিবার রাতে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর চর নোয়াবাদে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মওলানা আমিনুল ইসলাম নোমানীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডটি “বেপরোয়া”ভাবে ঘটানো হয়েছে।

নোমানী ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ও সদর উপজেলার মসজিদের খতিব ছিলেন। তিনি ১৫ বছর ধরে মাদ্রাসা ও ধর্মীয় কাজে সক্রিয় ছিলেন এবং জেলার ইসলামি ঐক্য আন্দোলনের দায়িত্বে ছিলেন।

ঘটনার বিবরণ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নোমানী এশার নামাজের পর বাড়িতে ফিরছিলেন। কিছুক্ষণ পর চিৎকার শুনে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে দেখা যায়, নোমানী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

নোমানীর স্ত্রী তজুমদ্দিনে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন এবং একমাত্র সন্তান লক্ষ্মীপুরে পড়াশোনার কারণে বাইরে ছিলেন।


পুলিশ ও তদন্ত

ভোলা সদর থানার এসআই ফাইজুল হক জানিয়েছেন,

“আমরা ময়নাতদন্ত ও সুরত হালের পর হত্যার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারব।”

পুলিশ জানিয়েছে, নোমানীকে “বেপরোয়া কুপিয়ে” হত্যা করা হয়েছে।


প্রতিক্রিয়া

ঘটনার প্রতিবাদে ভোলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি, ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটি ও ইসলামি ঐক্য আন্দোলন। বক্তারা হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।

ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোবাশ্বিরুল হক নাঈম বলেন,

“আমরা জানি না কেন এমন ঘটনা ঘটেছে। তদন্তের পরই সব স্পষ্ট হবে।”


প্রেক্ষাপট

নোমানী শুধু ধর্মীয় নেতা ছিলেন না; তিনি স্থানীয় শিক্ষাব্যবস্থা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় ছিলেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত এবং স্থানীয় শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বড় ধাক্কা।

পুলিশ হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছে এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যার কারণ ও অভিযুক্তদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments