ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের রক্ত ও ত্যাগ জাতির জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যদি আমরা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারি, দেশকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হই, তবে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না, আগামী প্রজন্ম আমাদের ধিক্কার জানাবে।”
রোববার (২৪ আগস্ট) নোয়াখালী উত্তর জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে চৌমুহনির বেঙ্গল কনভেনশন হলে আয়োজিত উলামা ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল বারবার জাতিকে ধোঁকা দিয়েছে। নির্বাচন এলেই তারা ধর্মপ্রাণ সাজে, উলামায়ে কেরামের দ্বারে যায়, আর ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানায়। বিগত সরকারও হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে, অথচ শেষ পর্যন্ত জনতার রোষে তাদের পালাতে হয়েছে। তাই যারা নতুন করে ক্ষমতায় আসবে, তাদের মনে রাখতে হবে জাতির সঙ্গে প্রতারণার পরিণতি কঠিন।
পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে অসংখ্য মা-বাবা সন্তান হারিয়েছেন, বহু মানুষ অন্ধত্ব ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এত ত্যাগের বিনিময়ে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা কাজে লাগানো না গেলে, তা হবে শহীদদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। তিনি উলামায়ে কেরামকে দেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান এবং ইসলামপন্থার এক বাক্স নীতি নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “যারা উলামায়ে কেরামকে মৌলবাদী আখ্যা দিয়েছে, তাদেরকে সমর্থন করা ঠিক নয়। উলামায়ে কেরাম নিজেদের শক্তি ও সামর্থ সম্পর্কে সচেতন হলে বাংলাদেশ আরও উন্নতির পথে অগ্রসর হবে।”
নোয়াখালী উত্তর জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা নজির আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রবাসী উপ-কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী-১ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী জহিরুল ইসলাম কাউসার, বাংলাদেশ-ওমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সলিম উদ্দিন, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা নুর উদ্দিন আমানতপুরী, বিভিন্ন মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস ও স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।



