সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালায় বড় পরিবর্তন এনেছে। পুরনো নারীদের জন্য বিশেষ কোটা বাতিল করে নতুনভাবে ৭ শতাংশ সংরক্ষিত কোটা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে আলাদা শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
বিধিমালার মূল পয়েন্টসমূহ:
- সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৯৩ শতাংশ পদ মেধাভিত্তিক
- সংরক্ষিত ৭ শতাংশ কোটা:
- মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫%
- ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১%
- শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ ১%
- কোটার আওতায় যোগ্য প্রার্থী না থাকলে পদ মেধাভিত্তিক পূরণ হবে
- নিয়োগ হবে উপজেলা বা থানাভিত্তিক, সরাসরি নিয়োগ ও পদোন্নতি উভয় মাধ্যমে
- বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য ২০%, অন্যান্য বিষয়ে স্নাতকদের জন্য ৮০% পদ সংরক্ষিত
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা:
- পদোন্নতি: সহকারী শিক্ষক বা সংশ্লিষ্ট বিশেষ পদে কমপক্ষে ১২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা
- সরাসরি নিয়োগ: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি/সমমান সিজিপিএসহ স্নাতক বা সম্মান ডিগ্রি। শিক্ষাজীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ/সমমান গ্রহণযোগ্য নয়
- লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে (শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার তফসিল-২ অনুযায়ী)
পূর্বের বিধিমালা: ২০১৯ সালের বিধিমালা অনুযায়ী নারীদের জন্য ৬০%, পুরুষদের জন্য ২০% এবং পোষ্য কোটায় ২০% পদ সংরক্ষিত ছিল। নতুন বিধিমালা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই বিধিমালা বাতিল হবে।
বিশেষ মন্তব্য:
শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারী কোটার বিলোপ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের লিঙ্গ ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে, তবে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার জন্য নতুন পদ সৃষ্টি ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে ধরা হচ্ছে।



