সিলেট, ১ সেপ্টেম্বর – জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেছেন, “জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতেই আমরা রাজনীতিতে এসেছি। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যে সম্মানটুকু পাওয়ার কথা, তা আমরা পাইনি।”
গতকাল সোমবার বিকেলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালা বাজারে এনসিপির উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই উঠান বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের দাবিতে।
সরকারি অফিসে সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভোগান্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা যেকোনো সরকারি অফিসে গেলেই মনে হয় কারও করুণার পাত্র, আসলে এগুলো আমাদের অধিকার। ভূমি অফিসে যেতেই এখন আমাদের ভয় লাগে; কারণ, এখানেই গেলেই আমাদের ঘুষ দিতে হবে। আমাদের যেটা প্রাপ্য সেটা ঘুষ দিয়ে পেতে হয়।”
দুর্নীতি দমন কমিশনের সমালোচনা করে তাসনিম জারা বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতি দমন করার চেয়ে বেশি বিরোধী দল দমন করার কাজ করছে। যদি এটি নিরপেক্ষ হতো, তাহলে যারা ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি করে, সেটা বের করলে সমস্যাগুলো সমাধান হতো।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, নিয়মটা পাল্টাতে। এমন নিয়ম হোক যাতে যে–ই ক্ষমতায় থাকুক, তাকেই সুষ্ঠু তদন্তের আওতায় আনা হয়। তাদের বিচার নিশ্চিত করা হয়। নতুন নিয়মই আমাদের নতুন সংবিধান। সাধারণ জনগণের হয়েই এনসিপি নতুন সংবিধানের আওয়াজ তুলছে। নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
রাজনীতিতে তরুণ ও নারীদের অবদানের প্রসঙ্গেও তাসনিম জারা বলেন, “বিগত সময়গুলোতে তরুণদের হেয় করা হয়েছে। কিন্তু তরুণদের মধ্যে দেশের প্রতি মায়া ও ক্ষমতাকে প্রশ্ন করার সাহস বেশি থাকে। আমাদের নারীরা গণ–অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারা যাতে নিরাপদে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে পারেন, সেটিও আমাদের দাবি।”
উঠান বৈঠকে এনসিপি সিলেট জেলার সদস্য হেলাল আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) শিরিন আক্তার শেলী ও নাহিদ উদ্দিন তারেক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিলেট মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, সিলেট জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী আবু সাঈদ, সদস্য সোহেল আহমদ মুসা, নুরুল ইসলাম, আয়েশা সিদ্দিকা প্রিয়া, গিয়াস উদ্দিন, সিলেট জেলার প্রচার সমন্বয়কারী ছালিম আহমদ খান, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।



