ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা অভিযোগ করেছেন, “একটি শক্তি নানা উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। যারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পেছনে ইন্ধন দিচ্ছে, তারাই ডাকসু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।”
সোমবার সন্ধ্যায় ডাকসু ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উমামা ফাতেমা বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ভোটার তালিকা ১১ আগস্টে প্রণয়ন হয়েছে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২৫ আগস্ট। “যদি এই গোষ্ঠী চাইত, তারা এই সময়ে হাইকোর্টে রিট করতে পারত। কিন্তু নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে রিট দায়ের করা হয়েছে। এটা পুরো নির্বাচনের ওপর ছায়া ফেলার একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।”
তিনি আরও জানান, “ডাকসু নির্বাচনের মাত্র আট দিন বাকি। এমন সময়ে হাইকোর্ট একটি আদেশে নির্বাচন স্থগিত করেছে। এর প্রতিবাদে আমরা মিছিল ও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার কথাও উল্লেখ করে উমামা ফাতেমা বলেন, “গতকাল রাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর একই ধরনের হামলা হয়েছে। এটি দেখাচ্ছে যে আমাদের ক্যাম্পাসগুলোকে অস্থিতিশীল করার একটি ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র চলছে।”
উল্লেখ্য, ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ডাকসু নির্বাচন ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে।
পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির চেম্বার আদালতে আপিল করেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে নির্বাচন কার্যক্রম পুনরায় চালুর নির্দেশ দেয়।



