আজ (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫’ উদযাপিত হচ্ছে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার’, যার মূল লক্ষ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার নিশ্চিত করা। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশের সাক্ষরতার হার ৭৭.৯ শতাংশ। তবে শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাস্তবে দেশের প্রকৃত সাক্ষরতার হার অনেক কম। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, অনেক শিশু বিদ্যালয় থেকে ঝরে যাচ্ছে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শিক্ষার সুযোগ সীমিত হওয়ায় প্রকৃত হার ৫০ শতাংশের নিচে হতে পারে।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে ১০-১৪ বছর বয়সি বিদ্যালয়বহির্ভূত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সির জন্য সাক্ষরতা ও জীবনব্যাপী শিক্ষা প্রদানের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে। ডা. পোদ্দার বলেন, “সাক্ষরতা কেবল অক্ষরজ্ঞান নয়; এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জ্ঞান প্রয়োগের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সাক্ষরতা অপরিহার্য।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “প্রযুক্তিনির্ভর যুগে ডিজিটাল জ্ঞান ও তথ্য ব্যবহারের দক্ষতা সাক্ষরতার অংশ। তথ্যপ্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকা মানুষ সমাজ ও অর্থনীতির মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রযুক্তি ও সাক্ষরতার মাধ্যমে একটি জ্ঞানভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়ে তোলা।”
উল্লেখ্য, দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও প্রকৃত সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি চালানো হচ্ছে।



