শুক্রবার, নভেম্বর ২১, ২০২৫
spot_img
Homeরাজনীতিবিএনপিএকাত্তরে ধর্ষণ–গণহত্যার জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে: আলাল

একাত্তরে ধর্ষণ–গণহত্যার জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে: আলাল

ঢাকা, শনিবার (১ নভেম্বর) ─ বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, একাত্তরে সংঘটিত ধর্ষণ, গণহত্যা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত। তিনি বলেন, “যদি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তবে একইভাবে ১৯৭১ সালের অপরাধের জন্য জামায়াতকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। একই অপরাধে দুই রকম বিচার হতে পারে না।”

শনিবার দুপুরে রাজধানীতে আয়োজিত ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

আলাল বলেন, “চব্বিশ এবং তার আগের মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, নির্যাতন, ভোটাধিকার হরণ—এসবের জন্য যদি আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবি ওঠে, তাহলে একাত্তরের গণহত্যা ও ধর্ষণের দায়ে জামায়াতের বিচারও হতে হবে। ইতিহাসের সঙ্গে প্রতারণা করে কোনো পক্ষকে ছাড় দেয়া যায় না।”

তিনি বলেন, “যদি আওয়ামী লীগের মতো একই ধরনের অপরাধে জামায়াতের বিচার না হয়, তাহলে সেটা ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে প্রতারণা হবে।”

আলাল অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনের নামে প্রহসন চালাচ্ছে। “জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে তারা সংবিধানকে দায়ী করছে। অথচ সংবিধান নয়, সমস্যার মূল হলো ক্ষমতার অপব্যবহার, অন্যায় ও দুর্নীতি।”

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনে নির্যাতন, দুর্নীতি ও অর্থপাচারই হয়েছে সবচেয়ে বড় বাস্তবতা। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মানুষের অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জামায়াত এখন নতুন পোশাকে হাজির হয়েছে। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করছে, কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য বিএনপিকে আক্রমণ করা। এই বহুরূপীদের মুখোশ জনগণ চিনে ফেলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “জামায়াতের জন্য ভালো সময় আসবে না। যেমন মুরগির বাচ্চারা মারা গেলে নাম হয় চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন রোস্ট বা চিকেন বার্গার—তেমনি জামায়াতও মরলে তবেই নাম পাবে। জীবিত অবস্থায় মানুষ তাদের গ্রহণ করবে না।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “পঁচাত্তরের চেতনা আমাদের শিখিয়েছে—স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি কখনো পরাজিত হয় না। শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৭ নভেম্বরের বিপ্লবই ছিল সেই চেতনার প্রতিফলন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ রক্ষায় এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াই চালিয়ে যাব।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা দাবি করেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশকে রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments