রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্পের পর আহত রোগীদের ভিড় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল)। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। একসঙ্গে এত রোগী আসায় চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাসাবো এলাকার বাসিন্দা রাকিব জানান, তিনি একটি ভবনের পাঁচতলায় রঙের কাজ করছিলেন। হঠাৎ ভবন দুলে উঠলে আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত নিচে নামতে গিয়ে তাঁর পা মচকে যায়। পরে পরিবার তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
জরুরি বিভাগের বিভিন্ন বেডে ভূমিকম্পের সময় আহত মানুষগুলো ব্যথায় কাতরাচ্ছে। কেউ সিঁড়ি বেয়ে নেমে পড়ে আহত হয়েছেন, কেউ ভবন থেকে লাফিয়ে নেমে, আবার কেউ নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে বা মাথায় সরঞ্জাম লাগায় আঘাত পেয়েছেন।
রাজমিস্ত্রি সুজন মিয়া জানান, আদাবরের একটি নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলায় কাজ করার সময় তিনি দোতলায় লাফিয়ে পড়েন। এতে তাঁর পা ভেঙে যায়। সহকর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
অন্যদিকে শ্যামলী এলাকার রেস্তোরাঁকর্মী তৌফিক সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নামতে গিয়ে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। তাঁর বাঁ পা ভেঙে গেছে এবং ইতিমধ্যে ভারী ব্যান্ডেজ দেওয়া হয়েছে।
পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র নার্স সজল বলেন, “ভূমিকম্পের পর থেকে বেশির ভাগ রোগীই পায়ে বা হাড়ে আঘাত নিয়ে আসছেন। যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে চিকিৎসা দিচ্ছি।”
শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৭, আর কেন্দ্র ছিল নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকার কাছে।



