বরিশাল: বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা মাছ বিতরণের সময় চরম বিশৃঙ্খলা ও হরিলুটের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ অফিসের ভেতরে ঢুকে জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। চারজন আনসার সদস্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন।
প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, জাটকা বিতরণের সময় কয়েকজন মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কার্টন সরিয়ে রেখে অল্প কিছু মাছ বিতরণের অভিযোগ ওঠে। এতে জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিশৃঙ্খলা চলতে থাকে। সরেজমিনে দেখা যায়, কর্মকর্তারা তিনটি কার্টন ধরে রাখতে চেষ্টা করছিলেন, তবে উত্তেজিত জনতা একটি কার্টন ভরাট জাটকা লুট করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কর্মকর্তা ও স্টাফরা কিছু মাছ নিজেদের জন্য সরিয়ে রেখেছিলেন। নীহারিকা মণ্ডল নামের এক গৃহিণী বলেন, “একটা জাটকাও পাইনি, সব লুট হয়ে গেছে। স্যাররা পেছনে কার্টন ভর্তি রেখে দিয়েছেন।” অন্যরা জানান, কিছু মাদ্রাসার মানুষকে বস্তা ভরে জাটকা দেওয়া হলেও দরিদ্ররা কিছুই পাননি।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ স্বীকার করেছেন, “দুস্থদের মধ্যে বিতরণের সময় কিছু মাছ লুট হয়েছে। সেখানে চারজন আনসার উপস্থিত ছিলেন।” তিনি জানান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসানের নেতৃত্বে অফিসের সামনেই অভিযান চালানো হয়েছিল এবং কিছু মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তিনি মাছের পরিমাণ প্রকাশ করেননি।
রিপন কান্তি ঘোষ আরও বলেন, “আমাদের স্টাফদের জাটকা নেওয়ার সুযোগ নেই। যারা অভিযোগ করেছেন, তারা গুজব ছড়াচ্ছেন।”



