সরকারের হুঁশিয়ার সত্ত্বেও বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেনি। দুই সপ্তাহ আগে ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া এই মসলাজাতীয় পণ্য এখন পাইকারি বাজারে ৪০ কেজির বস্তায় ২০০ টাকার মতো বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শনিবার সাধারণ বাজারে দাম ছিল ১১০ টাকা। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, আজ রোববার থেকে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে। আমদানির জন্য প্রায় তিন হাজার আবেদন জমা পড়লেও সরকার এখনো অনুমতি দিচ্ছে না। আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক অভিযোগ করেছেন, বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেটে জড়িত; তারা অসাধু ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগসাজশ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। তার মতে, দুই দিনের মধ্যে আমদানির অনুমতি দিলে দাম ৪০-৫০ টাকায় নেমে আসবে।
তবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসার কারণে এবং দেশের তিন লাখ টনের মতো মজুদ থাকায় এখনই আমদানি করার প্রয়োজন নেই। তারা সতর্ক করেছেন, বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আনলে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
ট্যারিফ কমিশন সম্প্রতি সুপারিশ করেছে, কিছু মধ্যস্বত্বভোগী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৯০ টাকার মধ্যে থাকার কথা থাকলেও তা বর্তমানে ১১৫ টাকার ওপর বিক্রি হচ্ছে। কমিশন সীমিত পরিমাণে আমদানি দ্রুত অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জানিয়েছে, দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে আমদানির অনুমতি উন্মুক্ত রাখা প্রয়োজন। অন্যথায় ভোক্তারা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরবরাহের অভাব ও সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থ হচ্ছে। আমদানির জন্য সরকারিকভাবে নীতিগত সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে।



