জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নিহত মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী বলেছেন, পরিবারের দাবি শুধু রায় ঘোষণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়, তাঁরা ন্যায়বিচারের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখতে চান। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
সেবন্তী বলেন, তাদের পরিবার বিচার প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত রূপ দেখতে চায়। তাঁর ভাষায়, “আমরা প্রত্যাশা করি আদালত সর্বোচ্চ ন্যায়বিচার দেবেন। তিনি (শেখ হাসিনা) যা করেছেন, তা অনেক পরিবারকে শোকের মধ্যে ফেলেছে। তাই ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।”
তিনি আরও বলেন, শহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে তারা সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা করলেও আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি বলেন, “আদালত যে সাজাই যথার্থ মনে করবেন, আমরা সেটিই গ্রহণ করব। ন্যায়বিচারই আমাদের মূল দাবি।”
সাবরিনা আফরোজ জানান, তাঁদের বিশ্বাস, মামলার প্রধান আসামির দেশে ফিরে বিচারকের সামনে দাঁড়ানো উচিত ছিল। তাঁর ভাষায়, “যদি সাহস থাকত, তাহলে আদালতে এসে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতেন। তিনি নিজেই জানেন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের গুরুত্ব কতটা।”
মাহামুদুর রহমান সৈকত কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোড এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
ঘটনার পর সৈকতের বাবা মামলা করতে না চাইলেও রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট তিনি মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পূর্ববর্তী সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, সাংসদ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে আসামি করা হয়।



