জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষিত হচ্ছে আজ সোমবার। রায় উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।
তিনি বলেন, আদালতের কাছ থেকে তারা সর্বোচ্চ ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করছেন। তাঁর মতে, রায় যদি প্রত্যাশা অনুযায়ী না হয়, তবে শহীদ পরিবারের সঙ্গে আইনগত লড়াই অব্যাহত রাখবে সংগঠনটি। তিনি বলেন, “আমরা রাস্তায় বা আদালতে যে লড়াই করেছি, ভবিষ্যতেও সেটা থামবে না। তবে শাহবাগের মতো গণজমায়েতভিত্তিক অরাজকতা আমরা চাই না। আমরা আইনের শাসনেই বিশ্বাস করি।”
ওসমান হাদি আরও বলেন, “আজকের রায় স্বাধীনতার পর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে। আমরা চাই, আদালত যেন কোনো রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়াই আইন অনুযায়ী রায় দেন।”
তিনি তাঁর বক্তব্যে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির প্রত্যাশা করেন। একইসঙ্গে ভারত সরকারের কাছে পলাতক আসামিদের প্রত্যর্পণের দাবি জানানোর আহ্বান জানান তিনি। তাঁর দাবি, প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক আদালতেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
রায়কে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভেতর ও বাইরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন। রায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ রায় দেবেন। অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের দাবি ছিল—জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর পরিকল্পনা ও নির্দেশনার সঙ্গে শেখ হাসিনা যুক্ত ছিলেন। তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে দেশে নেই এবং ভারত অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।



