জাতীয় পতাকা পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ শাস্তির কথা জানিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। খবর আল জাজিরার।
যদিও পতাকা পোড়ানোকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। সংবিধানের প্রথম সংশোধনী দিয়ে এটি সুরক্ষিত। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ১৯৮৯ সালে এ রায় দেয়।
সোমবার স্বাক্ষরিত এই আদেশে ১৯৮৯ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, পতাকা পোড়ানোর ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে ‘আইনবিরোধী কার্যক্রম উসকে দিতে’ পারে।
নির্বাহী আদেশে সইয়ের পর ট্রাম্প বলেন, ‘যদি আপনি একটি পতাকা পোড়ান, আপনাকে এক বছরের জন্য জেলে যেতে হবে; কোনো আগাম মুক্তি নেই, কিছুই নেই।’
ট্রাম্প আরো বলেন, ‘এক বছর জেলে যেতে হবে। সেটা রেকর্ডে থেকে যাবে। তখনই পতাকা পোড়ানো বন্ধ হতে দেখবেন।’
এছাড়াও নির্বাহী আদেশে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বিদেশি কেউ এ কাজ করলে তার ভিসা বাতিল ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করাসহ আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে বাকস্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। তারা বলছে, এই আদেশটি নাগরিক স্বাধীনতার মূলভিত্তিকে লঙ্ঘন করে, এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প তার নির্বাহী ক্ষমতাকে প্রায় সীমাহীন করার চেষ্টা করছেন।
এক বিবৃতিতে ফায়ার নামে এক সংগঠন বলেছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো বিশ্বাস করতে পারেন যে তার কলমের খোঁচা দিয়ে প্রথম সংশোধনী পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা আছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার সেই এখতিয়ার নেই।’
সোমবারের নির্বাহী আদেশে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় জড়িতদের ‘সম্ভাব্য সর্বোচ্চ’ বিচার করার আহ্বান জানানো হয়েছে



