লুট হয়ে যাওয়া সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ভোলাগঞ্জে সাদাপাথরের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে আবার পাথর প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। প্রশাসন বিভিন্ন জায়গা থেকে জব্দ করা পাথর দিয়ে কৃত্রিমভাবে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক এই কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ ঘনফুট পাথর পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, আরও সাড়ে ১৮ লাখ ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপন করা হবে। এতে সাদাপাথরের আগের রূপ ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রশাসন দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করেছে। একই সাথে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে অনেক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় পাথর ফিরিয়ে দিচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, যারা স্বেচ্ছায় পাথর ফেরত দিচ্ছেন, তারা বেশিরভাগ রাতেই গাড়ি পাঠান। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেসব পাথর রিসিভ করে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে আনলোড করছেন।
গত ১১ আগস্ট থেকে স্থানীয়দের আন্দোলন ও প্রতিরোধের মুখে সাদাপাথর লুটপাট বন্ধ হয়। এরপর দেশজুড়ে খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন তৎপর হয়। এই ঘটনার জেরে সিলেটের জেলা প্রশাসক এবং কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
গত ১২ আগস্ট থেকে প্রশাসন জব্দ করা পাথর প্রতিস্থাপন শুরু করে। কলাবাড়ী, কালিবাড়ী, ভোলাগঞ্জ, পাড়ুয়া, থানা সদর, ধুপাগুলসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা পাথর ভোলাগঞ্জ দশম্বর ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখান থেকে নৌকাযোগে পাথরগুলো পর্যটন কেন্দ্রে এনে শ্রমিকরা প্রতিস্থাপন করছেন।
গত দুই সপ্তাহে পাথর পুনঃস্থাপনের ফলে সাদাপাথরের সৌন্দর্য অনেকটা ফিরে এসেছে এবং পর্যটকদের আনাগোনাও বাড়ছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগের সপ্তাহের তুলনায় পর্যটকের সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিন মিয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যা সাদাপাথর পুনঃস্থাপন করা হয়েছে, এতে পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য অনেকটা ফিরে এসেছে। জব্দ করা সব পাথর প্রতিস্থাপনের পর আমরা আশা করছি, আগের সৌন্দর্য সম্পূর্ণ ফিরে আসবে।’



