চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের দফায় দফায় সংঘর্ষে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত চলতে থাকে। এতে অন্তত দেড় হাজার শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর।
আহতদের মধ্যে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রাজিউর রহমান রাজু ও নাইমুল ইসলামকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। রাজুকে সংঘর্ষ চলাকালে স্থানীয়রা ছাদ থেকে ফেলে দেয়, আর নাইমুলকে দুপুরের সংঘর্ষে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়।
দিনভর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মোট ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় বাসে করে চমেকে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি আছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন। চবি মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা ইয়াসমিন জানান, শনিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০০-এর বেশি শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০০ জনের অবস্থা গুরুতর এবং ১০ জন আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর ২টায় হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন এ আদেশ জারি করেন, যা আগামী সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তবে রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় শনিবার রাতে ভাড়া বাসার এক দারোয়ান এক ছাত্রীকে মারধর করার ঘটনায়। এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং তা ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নেয়।



