ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা মসজিদকে কেবল নামাজ আদায়ের স্থান হিসেবে নয়, বরং সমাজ উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, রাসুল (সা.)-এর যুগে মসজিদ ছিল বিচারকেন্দ্র, চিকিৎসাকেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রধান কেন্দ্র। তাই বর্তমানেও মসজিদকে নেতৃত্ব বিকাশ, সমাজ সংস্কার, শিক্ষা ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব আল-কোরআন রিসার্চ অ্যান্ড লার্নিংয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে মসজিদভিত্তিক গ্রাম ও সমাজ উন্নয়ন: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইসলামিক স্কলার ড. ঈসা মোহাম্মদ।
বক্তারা আরও বলেন, মসজিদকে সমাজ সংস্কারের পরামর্শস্থল, জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, মুসলিম ভ্রাতৃত্বের কেন্দ্র এবং জনকল্যাণমূলক সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি মসজিদে মহিলাদের নামাজের সুব্যবস্থা থাকা উচিত।
ড. ঈসা মোহাম্মদ জানান, আগামী মাসে চারটি জুমার বক্তৃতার মধ্যে একটি বক্তৃতা মসজিদের কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক করা হবে এবং দেশের সকল ইমামকে এই বিষয়ে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। এছাড়া শিগগিরই ইমাম এবং মসজিদ কমিটির জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করা হবে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ছিলেন:
- প্রফেসর ড. আ ব ম সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী (ইবি)
- প্রফেসর ড. লোকমান হোসেন (ইবি)
- প্রফেসর ড. মোজেম হোসেন
- ড. সাইদ মোহাম্মদ সাখাওয়াতুল ইসলাম
- ড. মো. হেদায়েতুল্লাহ
- ড. শাহ মুহাম্মদ খালিদ বিন নাছের
বক্তারা এই উদ্যোগকে মসজিদ ও সমাজের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি ও সমাজসেবা সম্প্রসারণের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন।



