শুক্রবার, নভেম্বর ২১, ২০২৫
spot_img
Homeজাতীয়ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে মিমাংসিত বিষয়ে ষড়যন্ত্রমূলক আন্দোলন বরদাস্ত করা হবে না...

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে মিমাংসিত বিষয়ে ষড়যন্ত্রমূলক আন্দোলন বরদাস্ত করা হবে না – ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নেতৃবৃন্দ

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকারের ১৯৭৮ সালের প্রজ্ঞাপনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সনদধারীদের জন্য ইউনিফাইড পদবী উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং সহকারী প্রকৌশলী পদে ৩৩% পদোন্নতির বিধান নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া ১৯৯৪ সালের পৃথক সরকারি প্রজ্ঞাপনে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করে ১০ম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়। একইভাবে প্রকৌশলী পদবী ব্যবহারের বিষয়টি বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি)-২০২০ এ স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।

তাঁরা অভিযোগ করেন, এসব রাষ্ট্রীয়ভাবে মিমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারগণ নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। আন্দোলনের নামে জনভোগান্তি সৃষ্টি ও মব সন্ত্রাস চালিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে, যার কোনো ভিত্তি নেই। নেতৃবৃন্দ স্পষ্ট হুশিয়ারি দেন—ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে মিমাংসিত বিষয়গুলো বাতিলের ষড়যন্ত্রমূলক আন্দোলন কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর সরকার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। ঠিক এমন সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল ও নির্বাচন ব্যাহত করার লক্ষ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহল প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাঙ্গনকে উত্তপ্ত করার কৌশল নিয়েছে। এ বিষয়ে গভীরভাবে খতিয়ে দেখার জন্য তাঁরা সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানান।

আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঢাকার কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত যৌথসভায় এসব কথা বলা হয়। সভায় কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদ, আইডিইবি জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংগ্রাম পরিষদের জেলা নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

সভায় নেতৃবৃন্দ সংগ্রাম পরিষদের ৭ দফা দাবিতে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৬–২৫ সেপ্টেম্বর সকল বিভাগে অহিংস বিভাগীয় সমাবেশ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

৭১টি সাংগঠনিক জেলার নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌ. মো. আবেরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইডিইবি অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌ. মো. কবীর হোসেন। সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব প্রকৌ. মো. ইমাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রকৌ. মো. মমিনুল ইসলাম, প্রকৌ. মো. আনিছুজ্জামান, প্রকৌ. মাহফুজুল আলম মিঠু, প্রকৌ. আওয়াল হোসেন, প্রকৌ. ফজর আলী লিটন, প্রকৌ. আহসান হাবিব, প্রকৌ. করিম উদ্দিন, প্রকৌ. সেলিমুল আজাদ, প্রকৌ. মো. সেলিম উদ্দিন, প্রকৌ. মো. আব্দুস সবুর, প্রকৌ. খসরু সরকার, প্রকৌ. মো. শাহানুর রশীদ, প্রকৌ. মুন্সী আবু জাফর, প্রকৌ. মো. রফিকুল ইসলাম, প্রকৌ. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments