ফেনীতে জুলাই আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগে জড়িত ডিবি ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বর্তমানে ফেনী মডেল থানার ওসি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। স্থানীয় জুলাইযোদ্ধারা এই নিয়োগের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
জুলাইয়ে কারফিউ চলাকালে শামসুজ্জামান ফেনী শহরের ইসলামপুর ও ট্রাংক রোডে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এরপরও তিনি মামলা বাণিজ্য ও পলাতক আসামিদের দেশ ছেড়ে পালাতে সহায়তা করছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তার অধীনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সাইফুল ইসলামও একইভাবে ক্লিয়ারেন্স দিয়ে আসামিদের পালাতে সহযোগিতা করেছেন।
স্থানীয় জুলাইযোদ্ধারা জানিয়েছেন, হত্যাসহ ২২টির বেশি মামলার কয়েক হাজার আসামি এখনও ধরা পড়েনি। পুলিশের কিছু কর্মকর্তা তখন ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে যোগসাজশে আন্দোলনকারীদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছেন।
ওসি শামসুজ্জামান বিষয়টি অস্বীকার না করে বলেছেন, কিছু ক্লিয়ারেন্স ভুলে দেওয়া হয়েছে, তবে তা পরে বাতিল করা হয়েছে। পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানও জানিয়েছেন, অনলাইনে তথ্য যাচাইয়ের সমস্যার কারণে মাঝে মাঝে ভুল ক্লিয়ারেন্স হতে পারে, তবে কেউ জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
স্থানীয়রা এই ঘটনা প্রসঙ্গে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দাবি করেছেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।



