ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ │ জুলাই জাতীয় সনদের আইনী ভিত্তি প্রদান-সহ ৬ দফা দাবিতে ৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে খেলাফত মজলিস। আজ দুপুর ২ টায় পল্টন কালভার্ট রোডস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময়ে নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আমির আলী হাওলাদার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অধ্যাপক গাজী আবদুল মান্নান, শ্রমিক মজলিস সাধারণ সম্পাদক এইচ এম এরশাদ, যুব মজলিস সহ-সাধারণ সম্পাদক জামিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কারের নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে জুলাই সনদ-২০২৫ চূড়ান্ত করেছে তার বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটেছে, এখন সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণে জুলাই জাতীয় সনদকে অবিলম্বে আইনী ভিত্তি দিয়ে কার্যকর করতে হবে এবং এর ভিত্তিতেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো অতি দ্রুত জুলাই সনদ ঘোষণা করে তা কার্যকর করা। এজন্য দুইটি প্রস্তাবনা রাখা হয়— এক, সনদ স্বাক্ষরের দুই মাসের মধ্যে গণভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক ও আইনী মর্যাদা প্রদান অথবা দুই, রাষ্ট্রীয় নীতিগত বিষয়গুলো নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়ন ও সাংবিধানিক বিষয়গুলো রাষ্ট্রপতির ঘোষণার মাধ্যমে কার্যকর করা এবং পরবর্তী সংসদের প্রথম অধিবেশনে তা অনিবার্যভাবে অনুমোদনের শর্তে সব দলের কাছ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করা। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের কার্যক্রমে অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়েছে, বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের পরিবর্তে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। ঘোষিত ৬ দাবির মধ্যে রয়েছে জুলাই জাতীয় সনদের ঘোষণা ও আইনী ভিত্তি প্রদান, পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও দোসরদের অপরাধের বিচার, তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, সবার জন্য সমান সুযোগের পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ। এসব দাবিতে খেলাফত মজলিস যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তা হলো ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল, ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব মহানগরে বিক্ষোভ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল। মহাসচিব বলেন, এর মধ্যে যদি জুলাই জাতীয় সনদের আইনী ভিত্তি প্রদানের সুস্পষ্ট উদ্যোগ না নেয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণভাবে এ আন্দোলন সফল করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।



