গাজায় কাগজে-কলমে যুদ্ধবিরতি চললেও ইসরাইলি আগ্রাসন থামেনি। প্রতিদিনই বোমা হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। দুই বছর ধরে চলা এ যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে, যার অর্ধেকই নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, কমপক্ষে ছয় হাজার ফিলিস্তিনি অঙ্গ হারিয়েছেন, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ শিশু ও ১২ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি ইসরাইলের আরোপিত অবরোধের কারণে গাজায় ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আহত ও অঙ্গহীন মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বিবৃতিতে আহতদের পুনর্বাসন ও অঙ্গহানি হওয়া শিশুদের জন্য মানসিক ও সামাজিক সহায়তা জরুরি বলে উল্লেখ করা হয়।
গাজা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন এক লাখ ৭০ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ, আর নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৯ হাজার ৫০০ জন। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার আওতায় গত ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কিন্তু সেই যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরাইলি বাহিনী গাজার এক হাজার ৫০০টিরও বেশি ভবন ধ্বংস করেছে। বিবিসির এক যাচাইকৃত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যেসব এলাকা ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে ছিল সেসবই এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত।
গত ৮ নভেম্বরের স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে গাজার বহু এলাকা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে ভবন ধ্বংস করে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন করছে। তবে আইডিএফের এক মুখপাত্র বিবিসি ভেরিফাইডকে জানিয়েছেন, তারা যুদ্ধবিরতির কাঠামো মেনেই কাজ করছেন।



