গণভোট বিষয়ে দেশে যে আলোচনা চলছে তা এখনো কোনো আইনগত কাঠামোর ওপর দাঁড়ায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে হলে আপত্তি নেই, কিন্তু প্রয়োজনীয় আইন ছাড়া এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে বড় ধরনের জটিলতার কারণ হতে পারে।
রোববার দুপুরে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে দুস্থ এক বৃদ্ধ দম্পতির হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কাজ করছে। কিন্তু পিআর পদ্ধতি এবং গণভোট নিয়ে যেসব আলোচনা হচ্ছে সেগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বহুবার বলেছেন—গণভোট পরিচালনার মতো কোনো আইন এখনো দেশে গৃহীত হয়নি।”
সাম্প্রতিক ডেঙ্গু পরিস্থিতি, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষকের সংকটসহ জনজীবনের নানা ইস্যুতে সরকারের আরও সক্রিয় ভূমিকা জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় স্বাক্ষরিত কিছু আন্তর্জাতিক চুক্তি দেশের স্বার্থবিরোধী ছিল বলে অভিযোগ তোলেন রিজভী। তাঁর দাবি, ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি এবং চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি অপারেটরকে দেওয়ার পদক্ষেপ সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বিদেশি নিয়ন্ত্রণে গেলে তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। যেকোনো চুক্তি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে মাথায় রেখে করতে হয়। অতীতে কিছু চুক্তির শর্ত জনগণের অজানা ছিল—যা গ্রহণযোগ্য নয়। এসব বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সতর্ক থাকা উচিত। আমরা এখনও অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা রাখি, সেই আস্থাকে ক্ষুণ্ন করা তাদের কাজ নয়।”
এ সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমান, জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান টোটনসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



