শুক্রবার, নভেম্বর ২১, ২০২৫
spot_img
Homeসর্বশেষহাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

দণ্ডিত ও পলাতক আসামিদের বক্তব্য–বিবৃতি ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার রোধে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সরকারি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ)-এর বরাত দিয়ে ওই পোস্টে বলা হয়—এই ধরনের প্রচার দেশের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

এনসিএসএ জানায়, ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিদের প্রচারিত বক্তব্যগুলোর অনেকেই মিথ্যা, উত্তেজনামূলক এবং সহিংসতার আহ্বানমূলক। এসব কনটেন্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে এবং নাশকতার সম্ভাবনা বাড়ছে।

গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একই মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিন আসামির মধ্যে দুইজন পলাতক এবং ভারতে অবস্থান করছেন।

এনসিএসএ তাদের বিবৃতিতে আরও বলেছে—বাংলাদেশের আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামির বক্তব্য প্রচার করা বিচার বিভাগের প্রতি অবমাননার শামিল। এসব বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি তৈরি করে।

সংস্থাটি সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ–২০২৫ কঠোরভাবে প্রয়োগের ঘোষণা দেয়। অধ্যাদেশে থাকা অতিরাষ্ট্রিক প্রয়োগের ধারা (ধারা ৪) অনুযায়ী উল্লেখ করা হয়—দেশের বাইরে থেকেও কেউ যদি এ আইনের আওতায় অপরাধ করেন, সেটিকে বাংলাদেশেই সংঘটিত বলে গণ্য হবে এবং একই শাস্তি প্রযোজ্য থাকবে। এছাড়া বিদ্বেষমূলক ও সহিংসতামূলক তথ্য প্রচারের অপরাধ (ধারা ২৬) এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা দশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

এনসিএসএ সতর্ক করে জানায়—রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে এমন ডিজিটাল কনটেন্ট পাওয়া গেলে তা অবিলম্বে অপসারণ কিংবা স্থায়ীভাবে ব্লক করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিটিআরসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ পাঠানো হবে।

পোস্টে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে বলা হয়—দণ্ডিত আসামিদের বক্তব্য, ভিডিও বা বিবৃতি আর কোনোভাবেই প্রচার করা যাবে না। নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments