বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সম্প্রতি কিছু গোষ্ঠী কিংবা ব্যক্তি এমনভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন যেন জাতি নতুনভাবে কাউকে পরীক্ষার সুযোগ দেবে। তিনি বলেন, “ইদানীং শুনছি—এই মানুষটাকে দেখুন, ওটাকে দেখুন। অথচ যাদের কথা বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ তাদের ১৯৭১ সালেই দেখেছে। তারা কী করেছে—তা জাতির মনে অম্লান।”
আজ রোববার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “স্বাধীনতার সময় লাখো মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, নারীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চলেছিল। যাদের আবার সামনে আনতে কেউ কেউ উৎসাহী, তারা সেই অপরাধের অংশীদার ছিল। ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না।”
বক্তব্যে তিনি কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তির আচরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর ভাষায়, “শুনছি একটি দলের কিছু ব্যক্তি নানান জিনিসের টিকিট বেচাকেনা করছেন, নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। একজন মুসলমান হিসেবে বলছি—যেটার মালিক আল্লাহ, সেটার মালিকানা দাবি করা বা দেওয়া শিরক। যারা এই ধরনের কথা বলছেন, তারা শিরকে লিপ্ত হচ্ছেন।”
দুর্নীতি দমন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। তারেক রহমান বলেন, “দেশকে ঠিক পথে নিতে হলে প্রথম কাজ হবে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা। আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি—বাংলাদেশে যদি কেউ দুর্নীতি দমন করতে পারে, সেটা বিএনপিই পারে।”
আগামী দিনে কঠিন সময় আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এক বছরের বেশি সময় ধরে বলে আসছি—সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। নানা জায়গায় বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে।” তবে তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপিই এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম।
তাঁর মতে, “দেশকে টেনে তোলার একমাত্র পথ গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা সম্ভব।”
স্বাধীনতার ইতিহাস স্মরণ করে তিনি বলেন, “এই দেশকে স্বাধীন করতে লাখো মানুষ একসঙ্গে দাঁড়িয়েছিল। আজ দেশকে এগিয়ে নিতে হলে, মানুষকে ভালো অবস্থানে নিতে হলে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।”



