বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অপপ্রচার ও ডিজিটাল আক্রমণ বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর ভাষায়, “আমাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সাইবার যুদ্ধের ময়দানে টিকে থাকতে না পারলে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিকভাবেও পরাজিত হতে হবে।” তিনি অভিযোগ করেন, ধর্মের নামে দেশকে বিভাজিত করারও চেষ্টা চলছে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রবণতা।
রোববার সকাল সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকে ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে, “১৫ বছরে দুঃশাসন, প্রশাসনিক জুলুম এবং ফ্যাসিবাদী আচরণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে একে একে অকার্যকর করে ফেলেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পতন মানে—গণতন্ত্রের পতন, জনগণের অধিকার হরণ।”
তিনি মনে করেন, দেশের বর্তমান সংকট কাটাতে এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে হলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠনের কোনো বিকল্প নেই।
ফখরুল বলেন, “দেশকে উন্নতির পথে নিতে হলে আগে প্রয়োজন সুশাসন প্রতিষ্ঠা। কিন্তু গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে নির্মমভাবে পদদলিত করেছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে এবং জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে যে অপপ্রচার চলছে, তা রুখতে হলে বিএনপির সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। “এটি শুধু রাজনৈতিক লড়াই নয়—এটি তথ্যযুদ্ধ, সাইবার যুদ্ধ। এখানে পিছিয়ে গেলে রাজপথেও পিছিয়ে যেতে হবে।”



