প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন আদর্শ পরিচালনা পদ্ধতি (এসওপি) অনুযায়ী এখন থেকে পাসপোর্ট না থাকলেও বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা ভোটার হতে পারবেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসরত তিনজন বাংলাদেশি নাগরিকের (এনআইডি বা পাসপোর্টধারী) প্রত্যয়নপত্রই যথেষ্ট হবে। মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আগে ভোটার হতে হলে বৈধ পাসপোর্টের মেয়াদ থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। নতুন নিয়মে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টের কপি, বিদেশি পাসপোর্ট বা জন্ম নিবন্ধন সনদের (অনলাইন ভেরিফায়েড) কপির মাধ্যমেও ভোটার হওয়া যাবে। এমনকি তিনজন প্রবাসী বাংলাদেশির প্রত্যয়নের ভিত্তিতে পাসপোর্টবিহীন ব্যক্তিও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। এছাড়া পিতা-মাতার এনআইডি ও প্রয়োজনে মৃত্যু সনদের কপি জমা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, নতুন এসওপি শিগগিরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সব বিদেশি মিশনে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে এনআইডির তথ্য সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনটি প্রতিষ্ঠান—ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এবং সামষ্টিক অর্থনীতি অনুবিভাগকে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ রয়েছে, এসব সংস্থা পুরোনো ও নিষিদ্ধ এপিআই পদ্ধতি ব্যবহার করায় ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হচ্ছে। এজন্য ইসি নতুন করে ‘ম্যাচ ফাউন্ড’ ও ‘নট ম্যাচ ফাউন্ড’ মডালিটি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে এবং তথ্য ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছে।
এনআইডির মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর জানান, প্রবাসীদের জন্য প্রক্রিয়াটি জনবান্ধব ও সময়োপযোগী করার লক্ষ্যেই নতুন এসওপি প্রণয়ন করা হয়েছে। একইসঙ্গে এনআইডির তথ্য যাতে আর কোথাও ফাঁস না হয়, সেজন্য কঠোর নজরদারি শুরু করেছে ইসি।