অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিকেল সাড়ে চারটা থেকেই রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা যমুনায় প্রবেশ করতে শুরু করেন। অংশগ্রহণকারী দল ও সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে গত রোববার বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে দলগুলোর মতভিন্নতা কাটেনি। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নিজেদের পূর্বের অবস্থানই ধরে রাখে।
প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে স্পষ্ট করে বলেন, “ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কেউ যদি নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছু ভাবেন, সেটি জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক।”
গত শুক্রবার রাতে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং পরে পুলিশের লাঠিপেটায় গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর আহত হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। এই ঘটনার পরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা।
দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই নুরুল হকের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।



