রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) এ বছরেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের কোনো বাস্তব প্রেক্ষাপট তৈরি হয়নি। প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনতন্ত্রে এই ধরনের নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত না থাকায় নির্বাচন আয়োজন অসম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে সংবিধিবদ্ধ নয়। তবে মন্ত্রণালয়ে অনুমতির জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, আগস্ট-পূর্ববর্তী ছাত্ররাজনীতির ভয়াবহতার কারণে ক্যাম্পাসে প্রকৃত ছাত্ররাজনীতির ধারা ফিরিয়ে আনার জন্য ছাত্র সংসদ অপরিহার্য। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ নাঈম বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন কার্যকর হলে ক্যাম্পাসে বলপ্রয়োগ ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির চিরতরে অবসান ঘটবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ড. সারওয়ার হোসেন বলেন, ২০০০ সালের পর থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ গঠিত হয়নি। শিক্ষার্থী-প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জাতীয় প্রোগ্রাম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগও সীমিত হয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থী সংগঠনগুলো দ্রুত গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন। ইসলামী ছাত্রশিবির শাখার সভাপতি আবুল হাসান বলেন, ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের মতামত প্রকাশ, সমস্যা সমাধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আবুল বাশার জানিয়েছেন, আইনগত জটিলতার কারণে আপাতত নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন আসার পরই নির্বাচনের সুযোগ তৈরি হবে।



