ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন সেবাস্তিয়ান লেকর্নু। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বুধবার তার নাম ঘোষণা করেন। এর মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে আস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রাসোয়া বায়রো।
৩৯ বছর বয়সী সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লেকর্নু প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। এলিসি প্রাদাস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নতুন প্রধানমন্ত্রীকে ফ্রান্সের পরবর্তী বাজেট পাসের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বায়রো প্রস্তাবিত বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাপক বিরোধিতা দেখা দেয়। অচলাবস্থা নিরসনে তিনি আস্থা ভোট ডাকেন। কিন্তু এমপিদের ভোটে পরাজিত হন বায়রো। ৩৬৪–১৯৪ ভোটে তিনি হেরে যান এবং পরদিন প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
ফলে ম্যাক্রোঁর দ্বিতীয় মেয়াদে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সেবাস্তিয়ান লেকর্নু। দায়িত্ব পাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে এক বার্তায় তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট আমাকে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার গঠনের জন্য। আমার দায়িত্ব হবে দেশের স্বাধীনতা ও শক্তি রক্ষা করা, জনগণের সেবা করা এবং জাতীয় ঐক্য ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।”
লেকর্নুর সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ফ্রান্সের ক্রমবর্ধমান সরকারি ঋণের বোঝা সামলানো।



