দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। সর্বশেষ নবম জাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯২ সালে। প্রায় তিন দশক পর আবারও শিক্ষার্থীরা ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
মোট ভোটার প্রায় ১২ হাজার
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে এবার মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে।
২৫ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৭৭ জন প্রার্থী
জাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের মোট ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিচ্ছে ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, বামপন্থি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থিত মোট আটটি প্যানেল।
পদভিত্তিক প্রার্থী সংখ্যা:
- সহ-সভাপতি (ভিপি): ৯ জন
- সাধারণ সম্পাদক (জিএস): ৮ জন
- সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস, পুরুষ): ১০ জন
- সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস, নারী): ৬ জন
বাকি ২১টি পদের জন্যও একাধিক প্রার্থী লড়ছেন। ফলে এবার ভিপি থেকে শুরু করে প্রতিটি পদেই হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন হল ও ডিপার্টমেন্টে প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে যাচ্ছেন বলে নির্বাচনের প্রতি তাদের আগ্রহ ও প্রত্যাশা তুঙ্গে।
১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সর্বশেষ নবম জাকসু নির্বাচন। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়। নানা আন্দোলন-সংগ্রামের পর অবশেষে চলতি বছর আবারও ভোটের ডাক এলো, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।



