জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম সভাপতির পদে ফিলিস্তিনের প্রার্থিতাকে সমর্থন জানাতে বাংলাদেশ নিজস্ব প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছে। এ সিদ্ধান্তে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাস।
শুক্রবার পাঠানো এক বার্তায় দূতাবাস জানায়, “বাংলাদেশের এ মহৎ পদক্ষেপ এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব, অটল সংহতি এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন।” একইসঙ্গে দূতাবাসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সমর্থনের দৃঢ় বন্ধনকে আরও সুসংহত করেছে।
প্রায় চার বছর আগে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তবে সম্প্রতি ফিলিস্তিনও প্রার্থী হওয়ায় বাংলাদেশ স্বেচ্ছায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। সরকার জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণের আগ্রহ থাকবে বাংলাদেশের।
ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস. ওয়াই. রামাদান এর আগে বলেছিলেন, “ভ্রাতৃপ্রতীম দেশগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাদের কাম্য নয়।” অন্যদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন জানান, শুরুতে মূলত সাইপ্রাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিকল্পনা থাকলেও পরে ফিলিস্তিনও প্রার্থী হয়, যদিও এ বিষয়ে বাংলাদেশকে আগে জানানো হয়নি।
শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আবারও প্রমাণ করল— ফিলিস্তিনের ন্যায্য অধিকারের লড়াইয়ে ও আন্তর্জাতিক পরিসরে কূটনৈতিক মঞ্চে ঢাকা সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে রয়েছে এবং থাকবে।



