সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই সফরে তাঁকে রাজকীয় মর্যাদার সমতুল্য অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুবরাজকে স্বাগত জানাতে থাকবে রেড–কার্পেট সংবর্ধনা, সামরিক ফ্লাই–পাস্ট, কামান সালাম এবং গালা ডিনার—যা কার্যত রাষ্ট্রীয় ভোজের সমান।
প্রতিরক্ষা ও পারমাণবিক চুক্তি
সফরে সৌদি আরবের সঙ্গে কয়েকটি বড় চুক্তি সই হওয়ার কথা।
- এফ–৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রি
- সিভিলিয়ান পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তি
ইসরায়েল এফ–৩৫ বিক্রিতে উদ্বেগ জানালেও ট্রাম্প প্রশাসন সৌদির সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে আগ্রহী।
মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতি
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প যুবরাজকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য চাপ দেবেন। গাজা যুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন শান্তি–প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়াকে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
খাশোগি হত্যার পটভূমি
২০১৮ সালে তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক খাশোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়নে বলা হয়, যুবরাজ হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন—যা রিয়াদ অস্বীকার করে আসছে।
সৌদির অগ্রাধিকার
সফরে যুবরাজ মোহাম্মদ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতি চাইবেন—
- আঞ্চলিক নিরাপত্তা গ্যারান্টি
- উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় আধুনিক চিপ প্রযুক্তি
ব্যবসায়িক যোগাযোগও আলোচনায়
ট্রাম্পের পরিবারের সঙ্গে সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক বছরের পর বছর ধরে আলোচনায় আছে। সফরের আগের দিন সৌদি ডেভেলপার Dar Global ঘোষণা করেছে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সঙ্গে মালদ্বীপে একটি বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণ প্রকল্প চালু হবে।



