আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–কে সঙ্গে রাখতে চায়। তবে দলটির অভ্যন্তরে চলছে জোটে যাওয়া না যাওয়ার হিসাব-নিকাশ।
গত শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোটে গেলে লাভ-ক্ষতি কী হতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় অংশ নেওয়া নেতাদের একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাওয়ার পক্ষে মত দেন, কেউ কেউ বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা চাইলেও অধিকাংশ নেতা তৃতীয় একটি জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
একাধিক সূত্র জানায়, জামায়াতের সঙ্গে জোটে গেলে এনসিপির গায়ে ‘ধর্মভিত্তিক ট্যাগ’ লাগতে পারে—এমন আশঙ্কা করেছেন অনেকে। আবার বিএনপির সঙ্গে জোটে গেলে আসন ভাগাভাগি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কারণে ঝুঁকি বাড়তে পারে বলেও মত দিয়েছেন নেতারা।
এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বলেন,
“নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতার পাশাপাশি সাংগঠনিক কাজেও জোর দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে এনসিপি।”
এনসিপি ইতিমধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ, এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে। গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় দল (গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জেএসডি ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি)–এর সঙ্গে এনসিপির জোট বা সমঝোতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন,
“কোনো জোট বা সমঝোতার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, আলোচনা চলছে।”



