বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা ডা. জাকির নায়েকের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর এবং তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে প্রত্যাশা ব্যক্ত করার প্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকা জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য তাদের নজরে এসেছে এবং তাদের নীতিগত অবস্থান হলো—কোনো দেশেরই অন্য দেশের অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস. এম. মাহবুবুল আলম গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক মন্তব্যে বলেন, “ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র একজন বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে।” তিনি এরপর দেশের অবস্থান স্পষ্ট করে যোগ করেন, “আমরাও বিশ্বাস করি যে, কোনো দেশের অন্য দেশের কোনো অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।”
উল্লেখ্য, ডা. জাকির নায়েক আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশের একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এই প্রেক্ষাপটে গত ৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল জাকির নায়েককে ‘পলাতক আসামি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি প্রত্যাশা করেন, জাকির নায়েক যেখানেই যান না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশ তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়টি বিবেচনায় রাখবে। ২০১৬ সালে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হওয়ার পর তিনি ভারত ত্যাগ করে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে অবস্থান করছেন। ঢাকার হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশও তাঁর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে, তাঁকে বাংলাদেশ সফরের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে সরকার এখনো স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি।



