আগামী ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াড (আইআরও)। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে বাংলাদেশের একটি ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল, যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর। দেশের এই উজ্জ্বল রোবোটিকস প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ার মঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরবে।
২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ দলের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে। এই দলে রয়েছে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুবাইদাহ জাফরিন ও নাফিয়া বাসার সুহানী, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জারিফ বিন সালেক, খোন্দকার মুশফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মাশরুর আরেফিন ভূঁঞা। এছাড়া ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নুসাইবা তাজরিন তানিশা, উইলিয়াম কেরি একাডেমির জাইমা যাহিন ওয়ারা, স্কলাসটিকা স্কুলের প্রিয়ন্তী দাস, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের রিদোয়ান রাব্বানী এবং আনন্দ মোহন কলেজের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল টিটু এই দলে নির্বাচিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (BdOSN) উদ্যোগে এ বছরের জাতীয় বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ ও ৩০ আগস্ট অনলাইন বাছাইপর্ব এবং ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর ‘আইআরও বাংলাদেশ ওপেন ২০২৫’ প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্বের মাধ্যমে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিভা যাচাই করা হয়। জাতীয় পর্বের বিজয়ীদের নিয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক দল নির্বাচনী ক্যাম্পে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও পারফরম্যান্সের বিভিন্ন মানদণ্ড বিশ্লেষণ করে এই চূড়ান্ত দলটি নির্বাচন করা হয়।
প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কোচ হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের কোচ মিশাল ইসলাম ও সহকারী কোচ এম তানজিম আল ইসলাম দিবস। দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি এ এ মুনির হাসান। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামালও অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে এবং গত সাত বছরে বাংলাদেশের দল ১৪টি গোল্ড মেডেলসহ মোট ৭৩টি পদক জিতেছে। দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমাদৃত করার দৃষ্টান্ত স্বরূপ এই শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ার মঞ্চে বাংলাদেশের রোবোটিকস প্রতিভাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে, এটাই সকলের প্রত্যাশা।



