গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, দেশের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান স্পষ্ট হওয়ার পরই গণঅধিকার পরিষদ কোনো জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের বটতলি মোড়ে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নুর বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে আর কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় আসবে না। পুলিশ, প্রশাসন, এমপি-মন্ত্রী—সবাই জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন পান। তাই প্রশাসন যেন কোনো রাজনৈতিক দলের নির্দেশে নয়, জনগণের স্বার্থে কাজ করে—এটাই আমাদের দাবি।”
তিনি বলেন, “দেশের কোনো রাজনৈতিক দলই এখন পর্যন্ত সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দেয়নি। কারণ, তারা ভোটকেন্দ্র দখলের জন্য এই চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে থাকে। গণঅধিকার পরিষদ এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে একটি স্বচ্ছ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়তে চায়।”
নুরুল হক নুর আরও জানান, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ঐকমত্যভিত্তিক একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল ও জনগণ মিলে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারণ করুক।”
তিনি পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন, যাতে প্রশাসন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের সেবায় কাজ করতে পারে।



