রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ইসলামি ছাত্রশিবির আয়োজিত ‘নবীন বরণ–২০২৫’ অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে উপস্থিত হন ডাকসু, চাকসু ও রাকসুর নির্বাচিত ভিপিরা। শনিবার কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারা নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা ও বিভিন্ন পরামর্শ দেন। বক্তারা অতীত ছাত্ররাজনীতির ইতিহাস, রাবির আন্দোলন-সংগ্রাম, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং শিক্ষাঙ্গনে সৎ, ন্যায়ভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তুলতে ছাত্রসমাজের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। ছাত্রশিবিরের পূর্ব ইতিহাস স্মরণ করে চাকসু ভিপি ইব্রাহিম রনি বলেন, ১৯৮২ সালের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আক্রমণের ঘটনায় শহীদ ছাব্বিরসহ শিবিরের নেতাকর্মীরা প্রাণ দেন। তিনি আরও বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরও প্রত্যাশিত ক্যাম্পাস পরিবেশ তৈরি হয়নি; বরং প্রশাসন ও রাষ্ট্রই শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ অতীতের দমন-পীড়নের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, ১৯৮২ সালে নবীনবরণে আক্রমণে শিবিরের চারজন নেতা শহীদ হন এবং সেই থেকেই ১১ মার্চ ‘শহীদ দিবস’ পালন করা হয়। তিনি জানান, দীর্ঘদিন পর এবার প্রথমবারের মতো ক্যাম্পাসের ভেতরে বড় পরিসরে নবীনবরণ আয়োজন সম্ভব হয়েছে। ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বক্তব্যে অভিযোগ করেন, অতীতে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ছাত্রশিবিরের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। তিনি হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবি তোলেন এবং বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য আওয়ামী লীগ একটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’। তিনি নবীনদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নব্য ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। প্রধান আলোচক ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেনসহ অতিথিরা অংশ নেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন।



