আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টিএফআই (টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন) সেল ও জেআইসি (জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল)–এ গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুই মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল–১–এ তাঁদের আনা হয়।
ট্রাইব্যুনালের আজকের কার্যতালিকায় ছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরত–সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল এবং পলাতক আসামি শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও আসাদুজ্জামান খান কামাল–এর জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগের বিষয়।
গত ৮ অক্টোবর পৃথক দুই মামলায় মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
টিএফআই সেল মামলার আসামিরা
শেখ হাসিনা, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ র্যাব ও পুলিশ–সংশ্লিষ্ট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জেআইসি (আয়নাঘর) গুম মামলার আসামিরা
এ মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ একাধিক উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা।
এই মামলার আসামি তালিকায়ও শেখ হাসিনা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকের নাম রয়েছে।
আজ যে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কামরুল হাসান, মাহবুব আলম, কে এম আজাদ, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লে. কর্নেল মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম সুমন, সারওয়ার বিন কাশেম, মেজর জেনারেল সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী।
সেনানিবাসের ভবনকে কারাগার ঘোষণা
১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ঢাকার সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করা হয়। আদালতের নির্দেশে ওই ভবনেই তাঁদের আটক রাখা হয়েছে।



