আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ২১ আগস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার
গাজা শহর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পরিকল্পিত স্থল অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, ইতোমধ্যে জেইতুন ও জাবালিয়া এলাকায় সেনারা অভিযান চালাচ্ছে, যা বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ এ অভিযানে অনুমোদন দিয়েছেন। সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রায় ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনাকে যুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে, যাতে দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ে সক্রিয় সেনাদের ওপর চাপ কমানো যায়।
হামাসের দাবি, ইসরাইল শান্তি আলোচনার বদলে বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা অভিযানের নিন্দা জানায়।
এদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সতর্ক করে বলেছেন, এ পরিকল্পনা উভয় পক্ষের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে এবং অঞ্চলকে স্থায়ী সংঘাতে ঠেলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক রেড ক্রসও সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজার মানুষ ইতোমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক সংকটে রয়েছে, নতুন করে বাস্তুচ্যুত হলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে।
২২ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে হামাস দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইলি সেনারা। তাদের মতে, গাজা শহর হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক কেন্দ্র, তাই সেখানেই প্রধান আঘাত হানা হচ্ছে। সেনারা জানিয়েছে, মাটির নিচে থাকা সুড়ঙ্গ ও অবকাঠামো ধ্বংস করাই এখন তাদের মূল লক্ষ্য।
অন্যদিকে, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং কয়েক ডজন ইসরাইলি পণবন্দীর মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। যদিও ইসরাইল এখনো সে প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক সাড়া দেয়নি। ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা কেবল পূর্ণাঙ্গ চুক্তি মেনে নেবেন, যেখানে সব পণবন্দীকে মুক্তি দিতে হবে।
সূত্র: বিবিসি