রাজধানীর বিজয়নগরে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান।
সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে আলরাজি কমপ্লেক্সে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে বেরিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিতভাবে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাগপার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াজ জানান, হামলাকারীরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে লুৎফর রহমানকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে।
সর্বদলীয় বৈঠক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
এর আগে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ২২টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। বৈঠকে ফ্যাসিবাদী শক্তি হিসেবে অবিলম্বে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের বিচার দাবিসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বিএনপির নিন্দা ও অভিযোগ
হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাতেই এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,
“এ ধরনের হামলা গভীর চক্রান্তের অংশ। এটি আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করার একটি ষড়যন্ত্র হতে পারে।”
তিনি হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সমমনা জোটের প্রতিক্রিয়া
সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটও পৃথক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদসহ বিভিন্ন দলের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে ছিলেন গণদলের সভাপতি গোলাম মাওলা চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ব্যারিস্টার নাসিম খান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এস এম শাহাদাত এবং এনডিপি সভাপতি আবদুল্লাহ-আল-হারুন সোহেল।
তারা প্রশ্ন তুলেছেন, সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার সঙ্গে এই ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। তাদের মতে, নির্বাচন ঘিরে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চক্রান্ত চলছে।
হাসপাতালের সর্বশেষ অবস্থা
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এবং বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম হাসপাতালে গিয়ে খন্দকার লুৎফর রহমানকে দেখতে যান।
ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, দুর্বৃত্তদের হামলায় তার ডান হাঁটু, ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত লেগেছে এবং একাধিক স্থানে সেলাই দিতে হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।



