ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নতুন করে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি বিষয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তুতি নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় এসেছে, যা গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার প্রশাসন গাজার পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য একটি নতুন প্রস্তাব তৈরি করেছে, যা ইসরাইল ইতোমধ্যে মেনে নিয়েছে। তিনি সতর্ক করেছেন, হামাস যদি এই শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
হামাসের মুখপাত্র প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “যুদ্ধ বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমরা কিছু ‘ধারণা’ পেয়েছি। আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধে সহায়তা করবে, এমন যেকোনো উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।”
তারা আরও জানিয়েছে, ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার এবং গাজা পরিচালনার জন্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রশাসন গঠন নিয়ে অবিলম্বে আলোচনায় বসার জন্য তারা প্রস্তুত।
বর্তমানে হামাসের হাতে প্রায় ৫০ জন ইসরাইলি বন্দি রয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ জনকে জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, “হামাস ইসরাইলি জিম্মিদের আটকে রেখেছে। এটি একটি সমস্যা, এবং আমরা সব জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে চাই।”
এদিকে, চলমান ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরেকটি বহুতল ভবন ধ্বংস হয়েছে, নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ জন। যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শিথিল করার আশা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল।



