ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভোট কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশপথে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সোমবার থেকে অনুমোদিত পাস ছাড়া কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তাদের পরিচয়পত্র যাচাইয়ের পরেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা রোগীদের ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া অনুমোদিত।
ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাব ও পুলিশের টহল রয়েছে। ডিএমপি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে প্রবেশপথগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন। বিশেষ করে শাহবাগ, নীলক্ষেত, মৎস্যভবন, হাইকোর্ট গেটসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সশস্ত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সহকারী প্রক্টর মো. আমজাদ হোসেন জানান, ভোট যেন নির্বিঘ্নে, শান্তিপূর্ণভাবে এবং কোনো অঘটন ছাড়াই সম্পন্ন হয় সেজন্য প্রবেশপথে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাতে ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রবেশপথে বিধিনিষেধ চালু থাকবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) আবু সুফিয়ান জানান, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও বিশ্ববিদ্যালয় পয়েন্টগুলোতে নীরবতা বজায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে কোনো বিশৃঙ্খলার তথ্য পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশের প্রবেশপথগুলোতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে গিয়ে পরিস্থিতি মনিটর করছেন।
নিরাপত্তার এই ব্যবস্থা সত্ত্বেও ভোট দিতে আসা শিক্ষার্থীরা ভিড় এবং দীর্ঘ লাইনের মধ্যে অপেক্ষা করছেন। কিছু শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ আসার কারণে প্রবেশে সমস্যা হয়েছে। বিশেষ করে সাদিয়া ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। সহকারী প্রক্টর জানান, ভোটকেন্দ্রের বাইরে কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না, যা নিয়ম অনুযায়ী সম্পূর্ণ বৈধ ব্যবস্থা।
এছাড়া ক্যাম্পাসে ইতিমধ্যেই কয়েকটি প্রার্থী ও তাদের সমর্থক আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পর্যবেক্ষকরা সতর্ক রয়েছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ভোট কেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে প্রশাসন সব প্রয়াস চালাচ্ছে।



