বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একসঙ্গে করা উচিত নয়। এটি আলাদাভাবে হলে গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও গুরুত্বসহকারে সম্পন্ন হবে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
ডা. তাহের বলেন, “আমরা আলোচনা করেছি প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) ও ট্রেডিশনাল পদ্ধতি নিয়ে। গত ৫৪ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, শুধু ট্রেডিশনাল পদ্ধতিতে নির্বাচন সুস্থ থাকে না। পিআর পদ্ধতি চালু হলে কেন্দ্র দখল ও রাতের ভোটের মতো অনিয়ম কমবে।”
তিনি জানান, জামায়াত নির্বাচন কমিশনের কাছে আগামী নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। “সরকার সিদ্ধান্ত নিলে ইসি সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করতে পারবে,” বলেন তিনি।
গণভোট ও নির্বাচনের পৃথক আয়োজনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ডা. তাহের বলেন, “একসঙ্গে হলে দলগুলো কেবল প্রতীকের বিজয়ে মনোযোগী থাকবে। সংস্কারের ইস্যুটি ছোট হয়ে যাবে। জাতীয় নির্বাচন জনপ্রতিনিধি বেছে নেওয়ার জন্য, কিন্তু গণভোট জাতির সংস্কারের জন্য—দুটির প্রকৃতি ভিন্ন।”
খরচ বাড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গণভোট একটি সহজ প্রক্রিয়া, বড় কোনো খরচ হয় না। একই বাক্সে ভোট হবে, শুধু ব্যালট আলাদা থাকবে।”
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়েও আলোচনা হয়েছে। “আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বলেছি। ইসি জানিয়েছে, জন্ম সনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব।”
রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে লটারির মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানায় জামায়াত। সরকার এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান ডা. তাহের।
তিনি বলেন, “গণভোট আগে হলে মানুষ তা গুরুত্ব দেবে। অতীতে ১০ বা ২১ দিনের ব্যবধানেও গণভোট হয়েছে। নভেম্বরে গণভোট করা সম্ভব।”



