শুক্রবার, নভেম্বর ২১, ২০২৫
spot_img
Homeরাজনীতিআওয়ামিলীগভুয়া কোম্পানির নামে সাড়ে ৪ কোটি শেয়ার কেনেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী, জব্দ করল...

ভুয়া কোম্পানির নামে সাড়ে ৪ কোটি শেয়ার কেনেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী, জব্দ করল সিআইডি

মেঘনা ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শেয়ার অবরুদ্ধ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এসব শেয়ারের মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তাঁর ভাই ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং রনির স্ত্রী মেঘনা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ইমরানা জামান চৌধুরী।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের তদন্তে অবৈধ অর্থ ব্যবহার করে শেয়ার কেনার প্রমাণ পাওয়ায় আদালতের নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত ১৮ নভেম্বর সিআইডির আবেদনের ভিত্তিতে শেয়ার জব্দের আদেশ দেন।

আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।

অবৈধ অর্থে ৫৯.৯৫ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয়

সিআইডির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—

  • অভিযুক্তদের ব্যক্তিগত হিসাব ও তাদের কাগুজে প্রতিষ্ঠান স্টিডফাস্ট ম্যানেজমেন্ট ট্রেডিং লিমিটেড–এর নামে মোট ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ২০০ শেয়ার কেনা হয়।
  • ক্রয়ের সময় এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৫৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা
  • পরে স্টক ডিভিডেন্ড যুক্ত হয়ে শেয়ার সংখ্যা বেড়ে হয় ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫৫টি

বিদেশ থেকে টাকা এনে বৈধ করার চেষ্টা

তদন্তে আরও জানা যায়—

  • অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, জালিয়াতি ও সংঘবদ্ধ অপরাধে বিপুল অর্থ অর্জন করতেন।
  • ওই অর্থের একটি অংশ সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে পাঠানো হয় এবং পরে দেশে ফিরিয়ে এনে বৈধ করার চেষ্টা চালানো হয়।
  • ২০২২ সালের জুলাই–সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিদেশ থেকে ২ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৪৪ মার্কিন ডলার দেশে আসে।
  • টাকাটি অভিযুক্তদের সহযোগী আবুল কাসেম ইউসিবি ও এনআরবিআইসি ব্যাংকের এফসি অ্যাকাউন্টে জমা করেন।
  • এরপর ইমরানা জামান চৌধুরী ও স্টিডফাস্ট ম্যানেজমেন্টের নামে ৬০ কোটি টাকা নগদ ও পে-অর্ডার জমা দেওয়া হয়।
  • এসব টাকা কমিউনিটি ব্যাংকের একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে সেখান থেকে মেঘনা ব্যাংকের শেয়ার কেনা হয়।

কাগুজে প্রতিষ্ঠানের দুই পরিচালকও জিজ্ঞাসার আওতায়

স্টিডফাস্ট ম্যানেজমেন্ট ট্রেডিং লিমিটেডে—

  • উৎপল পালকে ম্যানেজিং ডিরেক্টর
  • নাসিম উদ্দিন মোহাম্মদ আদিলকে ডিরেক্টর

হিসেবে দেখানো হয়েছে। দু’জনই সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপের কর্মচারী এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

সিআইডি জানায়, অপরাধে জড়িত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, অর্থপাচারের পূর্ণ চিত্র উদ্‌ঘাটন এবং অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়ার স্বার্থে অনুসন্ধান চলমান আছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments