গিলগিত-বালতিস্তান, আজাদ কাশ্মীর ও খাইবার-পাখতুনখোয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি
পাকিস্তানে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৫৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গিলগিত-বালতিস্তান, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অংশ এবং খাইবার-পাখতুনখোয়ার বাজাউর জেলায় টানা বৃষ্টির পর এই দুর্যোগ দেখা দেয়। খবর জিও নিউজের।
গিলগিত-বালতিস্তান সরকারের মুখপাত্র ফয়জুল্লাহ ফারাক জানান, ঘিজার জেলার খালথি উপত্যকায় এক নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন, ধ্বংস হয়েছে বহু বাড়ি। নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন। সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে।
দিয়ামারের বোনার এলাকায় বন্যার পানিতে এক ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। বাবুসার সড়কে ভূমিধসে আহত হয়েছে এক শিশু। বন্যায় ঘিজারের ইয়াসিন থোই এলাকায় ঘরবাড়ি, স্কুল, পানির ট্যাংক ও কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিধসের কারণে বালতিস্তান ও সাদপাড়া সড়কে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
মুজাফফরাবাদের নাসিরাবাদে মেঘ ভাঙনে একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজাদ কাশ্মীরের ঝিলম উপত্যকা, সামহনি, হাতিয়ান বালা ও নীলম উপত্যকায় পানির প্রবাহ বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার উল হক নদীতীরবর্তী বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, কোহিস্তানে বন্যায় কারাকোরাম হাইওয়ের একটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।