দেশে কার্যরত এয়ারলাইন্সগুলোর কাছ থেকে এখন থেকে আন্তর্জাতিক কার্ড ব্যবহার করে এয়ার টিকিট কেনা যাবে। প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নিশ্চিত করা ও যাত্রীসুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার এ–সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এতদিন আন্তর্জাতিক কার্ড মূলত বিদেশি কেনাকাটায় ব্যবহারের অনুমতি ছিল। ডিজিটাল সেটেলমেন্টের সীমাবদ্ধতার কারণে যাত্রীরা দেশে প্রতিযোগিতামূলক টিকিট মূল্য থেকে বঞ্চিত হতেন। নতুন সিদ্ধান্তে এই সীমাবদ্ধতা দূর হবে।
সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, বৈধ ভিসাধারী বাংলাদেশি নাগরিকরা এখন থেকে ঢাকা–সিঙ্গাপুর, ঢাকা–দুবাইসহ সব আন্তর্জাতিক রুটের বিদেশগামী ফ্লাইটের টিকিট দেশে বসেই আন্তর্জাতিক কার্ডে কিনতে পারবেন।
স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়—সব টিকিট বিক্রির আয় অবশ্যই দেশের অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের (এডি ব্যাংক) মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে, যাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় থাকে।
এছাড়া ভ্রমণ বরাদ্দের আওতায় ইস্যুকৃত আন্তর্জাতিক কার্ডে টিকিট কেনার পর ব্যবহৃত অর্থ পুনরায় রিফিল করা যাবে। তবে রিফিলের অনুমতি দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট এডি ব্যাংক নিশ্চিত করবে, টিকিট বিক্রির পুরো অর্থ দেশে জমা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরো জানিয়েছে, এয়ারলাইন্সগুলো তাদের টিকিট বিক্রির আয় এডি ব্যাংকে পরিচালিত বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে জমা রাখতে পারবে। ব্যয় বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অর্থ বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো তাদের মূল কোম্পানিতে পাঠাতে পারবে।
এভিয়েশন শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, নতুন নীতিমালা বাংলাদেশের টিকিটিং সিস্টেমকে আন্তর্জাতিক ডিজিটাল মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে, দেশীয়–বিদেশি টিকিট মূল্যের ব্যবধান কমাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করবে।



