সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রীনিবাস নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল দ্রুত খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, পাঁচ অনুষদের ডীন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, জকসু নির্বাচন কমিশনার ও প্রক্টরসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাশেষে জানানো হয়, ভূমিকম্প-পরবর্তী ঝুঁকি ও শিক্ষার্থীদের মানসিক–শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ২৪ নভেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল সম্পূর্ণ খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখতে ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়া হবে। তবে এ সময়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, উন্মুক্ত লাইব্রেরি ও ছাত্র–ছাত্রী পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অফিস স্বাভাবিক নিয়মেই খোলা থাকবে।
ভূমিকম্পে ক্যাম্পাসের ভবনগুলোতে কাঠামোগত ঝুঁকি আছে কি না—তা নিরূপণে বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। জবির লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডীনকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটি ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ভবন মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেবে। পরবর্তীতে ৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, জকসু নির্বাচন–সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন নিজ বিবেচনায় চালিয়ে যাবে।
উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন,
“শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বাইরে আমাদের কাছে আর কিছুই অগ্রাধিকার নয়। ক্যাম্পাস পুরোপুরি নিরাপদ ঘোষণা না করা পর্যন্ত সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখা হবে।”



